রাণা বসুর একগুচ্ছ বাজে কবিতা
খবরের কাগজের অক্ষরগুলো
জলে ভাসছে
আমি স্বপ্ন দেখছি
সকালের
একটা হাঁস বড্ড তাড়াতাড়ি
এগিয়ে এল
অক্ষরগুলো ভয়ে কাঁপছে
একটা অক্ষর আর একটা অক্ষরের
সাথে জুড়ে
মাছের মত সাঁতার কাটতে কাটতে
তলিয়ে গেল
তারপর আরো দুটো একইভাবে
তারপর আরো দুটো
আরো দুটো, তারপর
এগিয়ে এল সময়
আমি বিছানা ছেড়ে জলে নামতেই
অক্ষরগুলো জলে ভেসে উঠল
তারপর একে একে ভেজা কাপড়ে
উঠে গেল জল থেকে
****************************************
রোদ উঠলে লাল থুতু শুকিয়ে আরও
লাল হয়
কিন্তু এবিষয়ে আমি কাউকে বোঝাতে
পারিনি
যে গাঢ় রঙ পেতে গেলে
একমাত্র রোদ লাগে
আমি রঙের ওপর রঙ দিয়ে গাছ লিখে
রাখি
রোদ লাগে না বলে
সে গাছে কোনোদিন
ফুল ফুটল না
******************************************
একটা ছবি এঁকেছিলাম
যার কোনও রঙ ছিল না
এমনকি সাদা কালোও না
তাই সে ছবি কোনোদিন
টিভিতে দেখাল না
আমি কিন্তু সেই ছবি দেখি রোজ
রাতে
একা একা শুয়ে
বাবা আসে
আমার মাথার পাশে বসে দেখে
ছেলে বড় হচ্ছে
************************************
জন্মদিনে উপহার দেওয়া আমি ছেড়ে
দিয়েছি
যেদিন থেকে জানলার পাশে দাঁড়িয়েও
কোনো মেয়ের মুখ দেখে
ঘড়ির দিকে চোখ যেত না
সেদিন থেকে
এখন আমার ঘরে কোনো জানলা নেই
দরজাও রাখতাম না
যদি ওপর নীচ করার মানসিকতা
থাকত
***********************************
একদিন বিছানার ওপর বসে
পৃথিবীটা দুভাগ করলাম
দেখলাম
কোনো উত্তর দক্ষিন পূর্ব পশ্চিম
নেই
রিষা সেদিন স্নান করে এসে বলল,
এভাবে সংসার হয় না
সংসার করার জন্য
অন্তত একজনকে পৃথিবীর ভেতর
থাকতে হয়
উফফ। এই সেই গুলো। এবারেরগুলো দারুণ। রিষাদি নিরক্ষরেখা লালা ঘষে মুছে দিয়ে আসছে।
ReplyDelete