।। বাজে কবিতা ।। অনুপম মুখোপাধ্যায় ।।







৩টি কবিতামূলক পুনরাধুনিক কাজ


অমন বাঁশির সুর

।।
অমন বাঁশির সুর। বিকালের ফ্রেমে
বাজে। শীত রেখে যায়। যথা। ছাদ
থেকে সরে গেল অচেনা গরম পোর্ট্রেট
ন্যাড়া স্মৃতি। ছাল নেই। বাল নেই
বুনোস্বাদ। হারিয়ে শিহরন নেই
কানকে ঘেন্না করতে করতে অন্ধদের
অমন একটু মনকেমন তো। জরুরি
।।


রামপদ লাহিড়ীর আশ্চর্য ক্ষমতা

।।
যে প্রতীক জানা নেই আছে। রামপদ
লাহিড়ীর তাতে আগ্রহ থাকে না
বুদ্ধচরিত থেকে বাঁটুল দি গ্রেট
অবধি উনি বুলেটকে পিস্তলের
নলে ফের ঢুকিয়ে দিতে পারেন
কিন্তু। কাগজের আয়ু বেড়ে যায়
।।


পুকুর যে বহতা

।।
রোদের ১ম ঘায়ে জল চমকে ওঠে
আমি তখন পুকুরকে। নদী ভাবি
কিছু ১টা নাম রাখি বতী-টতি দিয়ে
তার উৎস আর মোহনা ১ই খাঁজে
ছলকায়পূর্বে লুকোনো পশ্চিমকে ছেড়ে
হলুদ ঘাসের ঘরে ভোর ম্লান উঠে যায়
।।

।। বাক্‌ ১২৩ ।। বাজে কবিতা ।। লুইপাদ ।।






দুটি কবিতা : লুইপাদ


STRANGLED (2016)

ধর্ষিতার নখের ভেতর ময়লা
পাওয়া যায় কাঁচ
কাঁচ থেকেই আলো ছিটকে পড়ে
ডিটেকটিভের মাথায়

খুনি হয়ত কাঁচের মতই কেউ
ভাঙ্গা ও ধারালো...



PERFUME

লোকটা অদৃশ্য হবার পর
লাস্ট একফোঁটা টুপ করে নেমে আসে
মাটির দিকে,

আর ঝুপ করে নেমে আসে
একঘর
অন্ধকার।

আমার রাস্তা হারিয়ে যায় মাটির দিকে যাবার...


।। বাজে কবিতা ।। সোনালী চক্রবর্তী।।






সোনালী চক্রবর্তী-র কবিতা

গাভী 

আমি মেকী, সেকথা জেনেছি বহু আগে,
নীতিহীন শরীরে বাজারী সারল্যের মসলিন,
মেধার অন্তর্বাসকেই দৃশ্যমানতা দেয় বেশী,
সর্পজিহ্বায় নীল আগুন
প্রশ্নাতীত প্রমানিত প্রতি দহনেই,
তবুও তো পূর্ণিমা আসে,
আর নদীখাতে,
ভরা অমাবস্যায় চন্দ্রোদয়..........
মনে পড়ে,
কথা ছিলো.........
এমনই রক্তপ্লাবিত জ্যোৎস্নায়,
তোমার জাগ্রত অঙ্কুরজাত অপত্য সন্দর্শনের,
"শ্রী" নাম হতো তার,
এমনই কথা ছিলো......
অভিমান বিদ্যুৎ বই তো কিছুই নয়
যার ধারকপাত্র অনাবিষ্কৃত,
খেয়াল হয়,
"মোষ" শুধুই একাডেমীতে পড়ার জন্য, 
বছরের পর বছর মাথা গুঁজে,
মেঘ এসে যৌথতায় ঢেকে দিয়ে যাওয়ার প্রতীক্ষায়,
কেউ সমর্পিত হয়না.....
শুধু পূর্ণিমারা আসে, 
আর ভরা অমাবস্যায় চন্দ্রোদয়,
নদীখাতে..................