জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়-র বাজে কবিতা গুচ্ছ
(১)
বিষাদ
আর
ফ্যাসাদ
এইভাবে শব্দ মিলিয়ে
এলিটের খুচরো খিস্তি
পাওয়া
গেল।
নোট বাতিল হ'ল
খুচরো না।
খুচরোগুলো অনেকদিন অলক্ষ্যে
টিকে
থাকে -
ফ্রেমে বাঁধানো 'Say Cheese'-এর
আড়ালে
বিষাদ আর ফ্যাসাদের
মত।
(২)
একটা চিরহরিৎ গাছের
গোড়ায়
বসে ছিলাম
ফটকিরি আর কয়লার
টুকরো
হাতে
কয়লা ঘষে গাছের
গায়ে
লিখলাম - চুমু
ফটকিরিটা শিশির ভেজা
ফিরে এলাম নিজের
ঠোঁটে
চেপে
ফটকিরি না শিশির
কে বেশি ভাল
অ্যাণ্টিসেপ্টিক
বলে
মনে
হয়?
(৩)
প্রোলিটারিয়েট
বলতে গিয়ে জিভ
জড়িয়ে
গেল
জিভে জিভ জড়ালে
ফোরপ্লে-র উষ্ণ ধাপ
অথচ এই নিজের
জিভেই
হোঁচট
আত্মরতি
জিভ কামড়ালে?
খিদে ঢাকা, মেক-আপ করা
পেট
নুনছাল উঠে যাওয়া
প্রোলিটারিয়েট।
(৪)
কালো কালিতে সই
করার
দিনে
মোটা করে কাজল
টানো
চোখে
সই
সুপুরুষ কবির।
কাজলও।
সুপুরুষ হলে
হাইমেন থেকেও কবিতা
জন্ম
দেওয়ার
অধিকার
থাকে
অসভ্য শুধু সে
যে আবির লাগাতে
গিয়ে
ঠোঁট
ছুঁয়ে
ফেলে।
(৫)
জানলা আড়াল করে
আছো
মানে আলোই আড়াল
করে
আছো
'আলো
আড়াল'
শুনে হাসি পেলো
কেন?
তোমার কোমরের জরুলটার
ওপর
মশা বসে, জানো?
প্রায়ই রাতে মশা
বসে।
মশারির ভেতরে থাকলেও।
আমি কিন্তু এসব
দেখে
হাসিনি
কখনও,
হাসি পেলেও না।
ভালো লাগলো পড়ে
ReplyDeleteআপনার গল্প ভাল লাগে খুব। এই কবিতাগুলোও যেন গল্পের মত রয়েসয়ে বলা। প্রত্যেকটা কবিতায় একটা করে গল্প আছে। মনের মত।
ReplyDelete