ভূগোল
রিসর্ট,পানশালা বা প্রমোদতরণী,
তিন,পাঁচ বা সাত,
তারকা সংখ্যা বৃদ্ধির সমানুপাতে
আমি নিজেকে বড়ো অসহায় পাই,
জড়োসড়ো লাগে অকৃত্রিম সিনথেটিক সহবতে।
কবিতার বই এর নাম মনে পড়ে,'বিব্রত ময়ূর',
এও মনে পড়ে,আমি ময়ূর নই,
না আছে পেখম,না মিথিকাল নাচ।
চারপাশের অত্যুজ্জ্বল পীতবিন্দু গুলোর ভিতর
থই খুঁজে বেড়াই,
মাঝ সমুদ্রে ডুবে যাওয়া নাবিক
যেমন ডাঙার আশ্বাস টুকু চায়,
সে তো মুহূর্ত কয়েক আগেও বোঝে না
মাটি সরে গেছে কতোদিন, কতোদিন আগেই।
অথচ ফুটপাথে বসে বই ঘাঁটার সময়,
আমার কোনও দিন 'হাইজিন' শব্দ টি মাথায় আসেনি।
দেহাতি নিঝুম মাঘের অমাবস্যায়
মাঝরাতের ওয়াগনকে পাস করানোর
দায়িত্ব থাকে লেভেল ক্রসিং এর যে ছেলেটার,
হাতল ঘুরানোর পর তার ইস্পাত তালুতে
একটা গোলাপ গুঁজে দিতে ইচ্ছে করেছে খুব,
প্রতিবার।
সেই মেয়েটার থেকে কিনে নিতে ইচ্ছে করেছে
সমস্ত ফুল,
যে পার্ক স্ট্রিটের কবর থেকে বাবুঘাট ঘুরে
ধর্মতলার সিগন্যালে পৌঁছায় রোজ,
নিয়ম করে।
তাদের হাসি দেখে হয়তো
মহানগরীর বিষাদ পরীর মাথায় ঝরে পড়েছে
স্বাতী নক্ষত্রের জল,
আর বাহরিন হেরে গেছে আমার ভূগোলে,
নির্বিচার।